মোঃ আনোয়ার হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতোকোত্তর শেষ করা উলফাত আরা তিন্নীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৮ জন সহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নিহত তিন্নীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিন্নী উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে।
বৃহস্পতিবার রাতে বড় বোন মিন্নীর সাবেক স্বামী একই গ্রামের কনুর উদ্দিনের ছেলে জামিরুল তিন্নীদের বাড়িতে দু’দফা প্রবেশ করে হামলা ভাঙচুর ও তিন্নীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর রাত ১২টার দিকে শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নীর নিথর দেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। পরিবারের দাবি, তিন্নী ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
এদিকে উলফাত আরা তিন্নির উপর অমানষিক নির্যাতন ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়ায় ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিন্নি তার বড় বোনের সাবেক স্বামীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শেখপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইউসুফ আলীর কন্যা তিন্নি ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান এবং তথ্য পদ্ধতি বিভাগের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। তার মৃত্যুর রহস্য উৎঘাটন করে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান বক্তারা।