বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার – জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ।
এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। অদ্য ১৪/০৯/২৩ তারিখ বিকাল ০৪:১০ ঘটিকায় জনৈক আঁখি বেগম ওরফে আকলিমা (৪০) তার ০৯ বছরের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক এর নিখোঁজ সংক্রান্তে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি করেন। উক্ত জিডিতে নিখোঁজ ছেলেটির একটি ছবিও সংযুক্ত করেন। জিডিটি এসআই নিয়াজ মোর্শেদের নামে হাওলা করা হয়।
এরপর নিয়াজ মোর্শেদ উক্ত নিখোঁজ জিডি নিয়ে ডিউটিতে বের হন। জিডির কপি হাতে, আর নিখোঁজ ছেলেটির (জিডিতে থাকা) ছবি যেন নিয়াজ নিজের হৃদয়ে গেঁথে নেন। ডিউটিরত অবস্থায় লঞ্চঘাট এলাকায় গাড়ি নিয়ে পেট্রোলিং করার সময় অনুমান ০৯:১৫ ঘটিকায় দূর থেকে হঠাৎ নিয়াজের চোখ পড়ে একটি লাল গেঞ্জি পরা ছেলের উপর। ছেলেটি হেঁটে চলে যাচ্ছে। নিয়াজ ড্রাইভারকে বলেন গাড়ি থামান! থামান! গাড়ি থেকে নেমে নিয়াজ দৌড়ে চলে যায় ছেলেটির কাছে। কাছে গিয়ে নিয়াজের স্বস্তির নি:শ্বাস। যেন তার হৃদয়ে থাকা নিখোঁজ ছেলেটির ছবির সাথে খুঁজে পাওয়া ছেলেটির ছবির হুবুহু মিল। তারপরও জিডির কপি নিয়ে আরেকবার মিলিয়ে দেখা। ছেলেটির নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তাও জিডির সাথে মিলে যায়।
এরপর আবু বক্করকে থানায় নিয়ে আসে এসআই নিয়াজ। সংবাদ দেওয়া হয় তার মাকে। মা এসে ছেলে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। এরপর বিধি মোতাবেক আবু বক্করকে তার মায়ের জিম্মায় প্রদান করা হয়।আনন্দে আজ যেনো সন্তান কে কাছে পেয়ে মা আত্মাহারা, খুশিতে কেঁদে ও ফেললেন তিনি।আমি সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চন্দ্র সরকার, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা( NPS)ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কমিটির পহ্ম থেকে এবং নিয়োগপ্রাপ্ত পত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে গোপালগঞ্জের কর্মরত দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসন কে এবং বিশেষকরে এস আই নিয়াজ মোর্শেদ কে সম্মান পূর্বক অন্তর থেকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।