ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলা ইউপি জাহাঙ্গীরপুর সাং বাতুয়াদি ১৩ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার সকালে আব্দুল খালেক (৬৮) সকালে আব্দুল খালেকের বসত ঘরের দক্ষিণ পাশে বাক প্রতিবন্ধী ছেলে আব্দুল সাত্তারের জন্য সিমেন্টের পালা দিয়ে একটি চৌচালা টিনের ঘর নির্মাণ করিতে ছিল এমন সময় জাবেদ আলী (৫০) ও তার গংগন অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র – সস্ত্র সজ্জিত হইয়া বেআইনিভাবে বসত ঘরের দক্ষিণ পাশে আব্দুল খালেকের জায়গায় অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করিয়া ১ নং আসামি জাবেদ আলীর হুকুমে বাক প্রতিবন্ধীর পিতা আব্দুল খালেক (৬৮) কে এলোপাতারী মারপিট শুরু করে। জাবেদ আলীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া খুন করার উদ্দেশ্য আব্দুল খালেক এর বুকের বাম পাশে স্বজোরে বারি মারিয়া একটি বুকের চাটনি ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে । আসামি সুলতান (৫৮)তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া খুন করার উদ্দেশ্য খালেকের মাথা লক্ষ্য করিয়া স্বজোরে বারি মারিলে খালেকের হাঁটুর নিচে হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম হয় । আসামী শহীদ মিয়া (৩৪) হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে খালেকের মাথার তালুতে পরপর দুইটি বারি মারিয়া ফোলা যুক্ত জখম করে। ডাক চিৎকার শুনিয়া নাসরিন আক্তার (৩০) ও বাক প্রতিবন্ধী ছেলে ছাত্তার (৩৫) আগাইয়া আসিয়া খালেককে উদ্ধার করার চেষ্টা করিলে ছাত্তারকে নীলা পোলা যখন করে। আসামী মোসলেম উদ্দিন নাসরিন আক্তারের চুল ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া মাটিতে ফেলিয়া তলপেটে লাথি বেদা মারিয়া বেদনা দায়ক জখম পরিহিত কাপড় চোপড় টানিয়া ছিড়িয়া শ্লীলতাহানি করে। আসামিগণ নির্মানাধীন বসত ঘরে ১৬ টি সিমেন্টের পালা সহ বাঁশ কাঠ যাহার মূল্য হবে প্রায় ৫৫ হাজার
টাকা । নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই আসামিগণ হুমকি দিয়া পালিয়ে যায় ।
নান্দাইল মডেল থানার পুলিশ আব্দুল খালেক কে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়া ভর্তি করে । এলাকাবাসীরা বলেন জাবেদ আলী ও তার গংগন নিরীহ পরিবারটির উপর বার বার অত্যাচার করে যাচ্ছে এ ব্যাপারে নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আকরাম হোসেন
নান্দাইল ময়মনসিংহ