মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
বাবুগঞ্জে স্কুল ছাত্র আত্মহত্যা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রী ও তার বাবা, স্থানীয় মসজিদের সেক্রেটারি সহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামে গত মাসের ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা রাতে হানিফ মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (১৭) নামের এক স্কুল ছাত্র কে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর ওই স্কুল ছাত্রের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কিন্তু ঘটনার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর নিহতের দাদী পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে একই বাড়ির জুলফিকার মোল্লা (৪৫), তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ইভা আক্তার (১৭), স্থানীয় মসজিদের সেক্রেটারি ফিরোজ আলম মোল্লা (৬৫) ও তার ছেলে মোঃ রাব্বি মোল্লা (৩৫) সহ ৪ জনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ নিয়ে এলাকায় চলছে কানাঘুষা। কেউ বলছে হত্যা, আবার কেউ বলছে আত্মহত্যা।
স্থানীয় জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ইব্রাহিম মোল্লাকে কেউ হত্যা করেছে না সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।
স্থানীয় বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইব্রাহিম একই বাড়ির জুলফিকার মোল্লার মেয়ে ইভা আক্তার (১৭) কে প্রেম নিবেদন করে প্রায়ই বিরক্ত করত। ইব্রাহিম মাদকাসক্ত হওয়ায় ইভা আক্তার কোন কর্ণপাত করত না। এ ছাড়াও ঘটনার দিন ইব্রাহিম মাদক সেবন করলে তার মা নাজমা বেগমের সাথে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
তবে আত্মহত্যার পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা দেখে সন্দেহ দেখা দিয়েছে পরিবারের মধ্যে তাই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান মামলার বাদী পিয়ারা বেগম ।
এলাকাবাসী আরো জানান, বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে হঠাৎ এই আত্মহত্যার ঘটনাটি।
আসামিরা ষড়যন্ত্রের শিকার বলে ইতিমধ্যে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে নির্দোষ দাবি করে লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানবেন্দ্র বালো জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে