বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
গণমাধ্যমকর্মী রমজান আলীসহ দুই জনের নামে আবারও মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করেছেন,কোটচাঁদপুরের তোয়াজ উদ্দিন। সম্প্রতি ঝিনাইদহ আদালতে মামলা হেরে খুলনা আদালতে এ মামলা করেন তিনি। এদিকে মামলা করায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে। অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন তারা।
ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকর্মী রমজান আলী বলেন,আমি জানতে পারি জুয়েলারি ব্যবসায়ি শাফায়েত হোসেন সাফার দোকান অবৈধ ভাবে ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে। এমন খবরে ওই প্রতিষ্ঠানটির সামনে যায়। যা কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অবস্থিত।
এরপর দোকান ভাঙ্গার ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন তোয়াজ উদ্দিন। এ সময় তাঁর সঙ্গে একটু বাকবিতন্ডতা হয়। এর কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটনাস্থলে আসে তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে পারভেজ আহমেদ। সে এসেই আক্রমন করেন আমার উপর।
ওই সময় পারভেজ তাঁর হাতে থাকা কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে করে আমার মাথা ফেটে যায়। ভেঙ্গে যায় মোবাইল ফোনটি। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়। ওই ঘটনা তুলে ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয় ওই সময়। ওই ঘটনায় আমাকে জব্দ করতে ও মামলা থেকে রেহাই পেতে গত ১২-০২-২২ তারিকে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় একটা চাঁদাবাজির মামলা করেন।
পরে ১৬-০৩ ২৩ তারিখে ডিজিটাল আইনে ঝিনাইদহ আদালতে আরো একটা মামলা করেন তিনি।
ওই মামলা দুইটি মিথ্যা,বানোয়াট ও হয়রানিমূলক হওয়ায় ঝিনাইদহের আমলি আদালত তা খারিজ করে দেন।
যার মধ্যে গত ০৮-০২-২৩ তারিখে আমলী ম্যাজিস্টেট,আমলী আদালত কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহের ম্যাজিস্টেট তানিয়া বিনতে জাহিদ ফোজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় মোতাবেক চাঁদাবাজি মামলা থেকে অব্যহতি দেন।
অন্যটি খারিজ করেন গত ২৫-০৭-২২ তারিখে আমলী ম্যাজিস্টেট,আমলী আদালত কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহের সিনিয়র ম্যাজিস্টেট সঞ্চয় পাল। ওই খারিজ করা মামলায় তোয়াজ উদ্দিন সম্প্রতি খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনাল ম্যাজিস্টেট দায়রাজজ আদালতে আবারও মামলা করেছেন। যার সমন গত ২২ -০৫-২০২৩ তারিখে হাতে পেয়েছি।
যাতে আগামী ০১-০৬-২৩ তারিখে ওই আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। রমজান আলী কোটচাঁদপুর গাবতলা পাড়ার আবুল খায়েরের ছেলে,অন্যজন একি পাড়ার আক্কাস আলীর ছেলে মোঃ শাওন হোসেন।
এ দিকে তোয়াজ উদ্দিন আদালতে এ মামলা করায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে। তারা বলেন, অভিলম্বে তোয়াজ উদ্দিন মিথ্যা,বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা। আর প্রত্যহার না হলে বড় ধরনের কর্মসুচীতে যাবেন বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
উল্লেখ্য,এর আগে মামলাবাজ তোয়াজ উদ্দিনের মামলার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ,কোটচাঁদপুর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম,মহেশপুর খালিশপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন, কোটচাঁদপুর বেনেপাড়ার বাসিন্দা শাফায়েত হোসেন সাফা কোটচাঁদপুর পৌর শহরের মৃত শফিউল এর ছেলে কামাল হোসেন,জামাল হোসেন, দামাল হোসেন,শরিফ হোসেন। সিঙ্গীয়া গ্রামের মোঃ ঠান্ডু, জহুরুল ইসলাম( জিন্না)
আমেনা খাতুন, রাহেন উদ্দিনসহ আরও অনেকে।