।।আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) সংবাদদাতা।।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল গ্রামের মৃত হেমায়েত আলি খানের ১ম পক্ষের সন্তান মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফারুখ খানের গেজেট নং চুরি করে ২য় পক্ষের বড় ছেলে মোঃ ফররুখ খান প্রশাসনের সহযোগিতায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্ত ভোগি মুক্তিযোদ্ধা ফারুক খান জানান আমার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের গেজেট নং ৯০৩ এবং অনলাইনে সকল তথ্যের সাথে আমার যাবতীয় তথ্যের মিল থাকা সত্তেও অনিবার্য্য কারনে আমাকে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে মর্মে উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ফররুখ খানের ছেলে ইউএনও হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন তার প্রতি বেশি রকম অবিচার করছেন বলে তিনি আরো অভিযোগ করেছেন । তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মর্মে সকল তথ্য উপাত্তসহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে তিনি (জেলা প্রশাসকের পক্ষে) ২০১৯ সালের ৯ ডিশেম্বর (স্মারক নং ৫.১২.২৯০০.০০৬.৯৯.১১২.১৯ -৯১১) এর আলোকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজ সেবা অফিসারকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হলেও প্রশাসন অনিবার্য কারনে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি বলে প্রতিবেদকের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন। মোঃ ফারুক খান, পিতা মৃত হেমায়েত আলি খান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের গেজেট প্রকাশিত জুন ৫/২০০৫ গেজেট নং ৯০৩ হুবহু সমস্ত কিছু মিল থাকা সত্তেও মোঃ ফররুখ খানের নামে কিভাবে ভাতা চালু হলো প্রশাসনের কাছে ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন ফারুখ খান। তিনি অভিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নামে বরাদ্ধকৃত বকেয়া সহ সকল পাওনাদি পরিশোধের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বয়সের ভারে নজু হয়ে পড়ায় মৃত্যুর পূর্বে ভাতা পবেন কিনা? এ নিয়ে প্রতিবেদকের কাছে সংসয় প্রকাশ করেছেন । গেজেট নং চুরি করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়া মোঃ ফররুখ খানের নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মোঃ ফারুখ খানের নামে মুক্তিযোদ্ধার সকল কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন। মোঃ ফররুখ খান মুক্তিযোদ্ধা নয় এ ব্যাপারে মুঠোফোনে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ফারুখ খান মুক্তিযুদ্ধের সময় এলাকায় ছিলনা তিনি ঢাকাতে ছিলেন। তাকে মিথ্যাবাদি আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করবেন বলে প্রতিবেদকের কাছে হুমকি দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ বজলুর রশিদ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন বক্তব্য প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। একই গেজেট নম্বরে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় বিষয়টি প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকার সচেতন মানুষের প্রশ্ন তাহলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কে? তাকে খুজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য তবে ৪ ক্যাটাগরির মধ্যে যে কোন ১ ক্যাটাগরিতে নাম থাকলেই তিনি মুক্তিযোদ্ধা বলে বিবেচিত হবেন। মুক্তিযোদ্ধা ফারুক খান বেসরকারি গেজেট ভুক্ত নং ৯০৩। কিন্ত মুক্তিযোদ্ধা ফররুখ খানের নাম সাময়িক সনদ ছাড়া কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে যে ৪ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযোদ্ধা বিবেচিত হয় তার মধ্যে সাময়িক সনদের কথা উল্লেখ নেই।
উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব কামাল ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত