কাজী শামিউল ইসলাম নওগাঁ থেকে:
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর ২নং ওয়ার্ড পলীপাড়া নদীর বাঁধ সংলগ্ন একটি খুঁটিতে দিবারাত্রি জাতীয় পতাকা টাঙানো থাকে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায় উক্ত জায়গাটি জঙ্গলে ভরপুর ঘর দুয়ার কিছু নেই সবে মাত্র একটি খুঁটি এ খুঁটিতে পতাকা টাঙ্গানো থাকে। উক্ত স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে সি.আর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যেখানে ঘর দুয়ার কিছু নেই স্কুলের টিনের ছাউনি নেই, উক্ত স্কুলের পরিচালক সন্তোষ কুমার তিনি প্রধান শিক্ষক,তিনিই প্রতিষ্ঠাতা,তিনি সভাপতি, তার সহধর্মিনী উক্ত স্কুলের শিক্ষক, তার ছেলে ছাত্র,আরো দুই জনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
সন্তোষ কুমার সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ এলোটসহ সবকিছু ভোগ করে থাকেন। নেই কোন প্রসাশনের নজরদারি এভাবেই অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নজিপুর পৌর পলীপাড়া গ্রামের সন্তোষ কুমারের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রেজাউল করিম বলেন, আমার মুরগির ফার্মের পাশে, ভিকু মেশিন দ্বারা গর্ত করে আমার ফার্মের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে, তার প্রেক্ষিতে পত্নীতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি, জিডি নম্বর ৯০৭, গত ১৫-১১-২০২২ সকাল দশটায় এ বিষয়ে আমি তাকে সতর্ক করলে, আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় হাত পা ভাঙ্গিয়া ফেলবে। আমি নাকি স্কুলের সমস্যা করতেছি, প্রকৃতপক্ষে এখানে জঙ্গল ছাড়া কিছুই নেই।কোনদিন স্কুল ও ছিল না, স্কুলের নাম ভাঙ্গিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে আমার প্রতিবেশী এলাকার মানুষজন সবাই অবগত রয়েছেন।
এবিষয়ে সন্তোষ কুমারের সঙ্গে কথা হলে জানা যায় উক্ত সি.আর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালক সন্তোষ কুমার, তিনি প্রধান শিক্ষক, ও তার সহধর্মিনী সহকারী শিক্ষক, তিনি স্কুলের সভাপতি,পরিচালক সবকিছুই তিনি।
ঘর দুয়ার কিছু না থাকায় ও রাত দিন পতাকা উত্তোলন করা থাকে, এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে চলেন, কোন প্রশ্নের জবাব দিতে চান না, বিভিন্ন ব্যস্ততা দেখিয়ে চলে যান এবং বলে পুলিশ প্রশাসন কাউকে আমি ভয় পাই না যা খুশি করতে পারেন,তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন আমার কিছুই করতে পারবেন না আপনারা, এই বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সন্তোষ কুমার।
উক্ত বিষয়ে নজিপুর পৌর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর (পলীপাড়া) অরুণ পাল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এখানে সন্তোষ কুমার নিজের ইচ্ছে মত স্কুল নামকরণ করেছে, আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমি জানিনা এখানে স্কুল রয়েছে, পুরোপুরি জঙ্গলে ঘেরা,এখানে অতীতে কোন স্কুল ছিল না,আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেয়র ও এই স্কুলের বিষয়ে কিছু জানেন না।
সন্তোষ কুমার এর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে সতর্ক করলে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মামলা দায়ের হুমকি ধামকি দেয় এবং আমিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন কোর্টে। আমি জঙ্গলের মধ্যে পতাকা টাঙ্গানোর কথা বলতে গেলে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষা গালাগালি করে রাজনৈতিক প্রভাবে হুমকি ধামকি দেয়।