মোঃ মেহেদী হাসান, রাজশাহী ব্যুরো প্রধানঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট শাখার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এ ব্যাংক চলাকালীন সময়ে চোখের আড়ালে ব্যাংকের ভিতর থেকে প্রতারণা করে এক ভদ্র মহিলার কাছ থেকে ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে ৩ জন প্রতারক।
সরজমিনে গিয়ে শোনা গেছে, ৬ এপ্রিল (বুধবার) কেশরহাট পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কেশরহাট মহল্লার জৈনক লালচান সরদারের স্ত্রী সকালে ব্যাংকে আসে টাকা তোলার জন্য।
তিনি তার অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৭৫ হাজার টাকা তুলে ব্যাংকের ভিতরে বসে গণনা করছিলেন।
এসময় প্রতারকরা তাকে টাকা গণনা করে দেওয়া ও হাজার টাকার নোট করে দেওয়ার কথা বলে টাকার বান্ডিল হাতিয়ে নেয় এবং গণনার কথা বলে ও শেষে তার হাতে মোট ৩২ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত ব্যাংক থেকে তারাতাড়ি করে বেরিয়ে যায়।
তৎক্ষনাৎ ভদ্র মহিলা টাকা গণনা করে বুঝতে পারে যে, তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। তিনি দ্রুত বিষয়টি কর্তব্যরত ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবগত করেন এবং পরে থানায় গিয়ে এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অপরদিকে, ব্যাংক এর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চক্রটির প্রধান ব্যাক্তি পোশাকে পরিপাট অনেকটা ভদ্রবেশী মধ্যবয়সী লোক। বাকি দুই সহযোগী বৃদ্ধ বয়সী দাড়িওয়ালা। এদের একজন লুঙ্গি পড়া খুড়া বেশে চলতে দেখা যায়। অপরজন প্যান্ট শার্ট পরে এসেছেন।
দেখে উপায় নেয় এরা ভদ্র পোশাকের আদলে মুখোশধারী প্রতারক। এরা প্রায় সকাল ১০ টা ৫১ মিনিটে এ প্রতারণার কাজ করে।
তাদের একজনকে সিনিয়র অফিসার মতিউর রহমানের সাথে কথা বলতে দেখা যায় এবং অপর দুইজন ব্যাংক ভিতরে ঘোরাঘুরি করতে করতে ভদ্র মহিলার সাথে কথা বলতে দেখা যায় ও টাকা গণনা করে।
টাকা গণনার সময় নিজেরদের পকেটে টাকা রাখে আবার ভদ্র মহিলার নিকট টাকাও দেয় এবং দ্রুত ব্যাংক থেকে প্রায় ১১ টা ২ মিনিটে বের হয়ে যায়।
অর্থাৎ মাত্র ১৩ মিনিটের ব্যবধানে তারা এ প্রতারণা করে।
ভুক্তভোগী বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে ঐ প্রতারকদের ব্যাংকের লোক ভেবে তাদেরকে টাকা গণনা করতে দিই।
আমি কোনভাবেই বুঝতে পারিনি তারা প্রতারক এবং প্রতারণা করে আমার টাকা নিয়ে পগার পার হবে। এ বিষয়ে আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে ইসলামী ব্যাংক এর উক্ত শাখার সিনিয়র অফিসার মতিউর রহমান বলেন, প্রতারকদের একজন আমাকে বলেন, সে ব্যাংকে একটি হিসাব খুলতে চায় এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে সে বিষয়ে জেনে চলে যায়।
ইসলামী ব্যাংক কেশরহাট শাখার প্রধান কর্মকতা (এফএভিপি) সেরাজুল ইসলাম বলেন, সে সময় আমি নিজে ব্যাংকের কার্যক্রম পরিদর্শন করছিলাম। সন্দেহ করার মত তেমন কিছু আমার চোখে পড়েনি।
পরে ঐ ভদ্র মহিলার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হই। পরে সিসি ক্যামেরা দেখে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামি ব্যাংকের কেশরহাট শাখায় মহিলা গ্রাহকের সাথে প্রতারণার বিষয়টি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই পারভেজসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়েছিলেন।
ঘটনাটির তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি ব্যক্ত করেন ।
##