দীপ্ত রায়, শ্রীমঙ্গলঃ
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের মধুপুর চা বাগানে কাঁঠালটিলায়
গত ২৪ এপ্রিল রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সররাই ও বাহা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাশ্রমিক বংশোদ্ভূত আদিবাসী সাঁওতাল সাঁওতালিরা চা বাগানে বংশানুক্রমে পরমপরায় বৃটিশ আমল থেকে এখানে বসবাস করে আসছেন।
মারাংবুরু দেবতা হতাদের পূজ্য প্রধান দেবতা চা বাগানে টিলা নম্বরে অনেকেই নানা বিপদের শিকার হয়ে জীবন বিপন্ন হয় যুগযুগ থেকে। এই দেবতাকে তুষ্ট করতে শহরাই,বাহা পূজাঅর্চনা করছেন সাওতাল আদিবাসীরা।
আলাপকালে আদিবাসীরা জানায়, মধুপুর কাঠালটিলা ৩৪ ঘর সাঁওতালের বসবাস, প্রায় ৩০০ শতাধিক জনগোষ্ঠী ।চা বাগেনের শ্রমিকের কাজ করে ১০০ জন চা শ্রমিক। তাঁদের জীবন মান অত্যান্ত নিন্মমানের। খাদ্য,শিক্ষা, চিকিৎসা নামমাত্র। কানু সাওতাল পি মৃত অভিমান্য নামে একজন আদিবাসী চা বাগানে সর্দারের কাজ (শ্রমিক) করে সাপ্তাহিক হাজরী ১২০ টাকা ৩ কেজি ময়দা পান। তা দিয়ে জীবনের নিজের ও পরিবারের চাহিদা কায়েকলেশে কাটে।যোগ্যতা হিসেবে সে এইচএসসি পাশ করেছে ২০১৯ হবিগঞ্জ এর বাহুবল কলেজ থেকে।আক্ষেপ করে বলেন এই বাগানে এসএসসি পাশ কর বহিরাগতরা বাবু স্টাফের কাজ করেন অনেকে। আমরা নানা বৈষম্যএর শিকার । উৎসবে আরো কথা হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রিয়া সাওতাল, বৃষ্টির সাথে, তাঁরা এ বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে আজকে অনুষ্টানে প্রার্থনা করেছেন ।মধুপরে সাওতালদের সভাপতি চুনু সাওতাল , মন্টু সাওতাল, অরুনা সাওতাল, ও পূজারি শনিচর জানান বৃটিশ আমল থেকে বৈশাখে মাস ও পৌস মাসে সাহারা গাছের তলে পূজা করে আসছে, তুমদা,করতাল বাজিয়ে, ঝুমুর গান করে মারাংগুরু কে স্মরণ করেন সবাই। খিচুরীর সাথে মারাংগুরুর চারপারুটি মুরগীও আতপচালেরগুরা, মশলা, পিয়াজ, রসুন, তেল, বাখর, তৈরী বিশেষ ভোগ যা মারাংবুরু দেবতা কে ভোগ প্রদান করা হয়। পরে সেই বিশেষ ভোগ সকল কে প্রসাদ হিসেবে প্রদান আদিবাসীরা গ্রহন করেন। আজ যারা খোলা আকাশে নীচে তাঁরা মারাংবুরু দেবতার অনুষ্ঠান করছেন। আগামীতে এখানে আদিবাসী সাঁওতালদের জন্য নাটমন্দির নির্মান করে পুজাঅর্চনার ও প্রার্থনার ব্যবস্থা করার জোর দাবী করেন আদিবাসী সাঁওতাল সাঁওতালি জনগোষ্ঠী।
দীপ্ত রায়
আইটি সেন্টার গুহ রোড
শ্রীমঙ্গল,মৌলভীবাজার
প্রেরণ কৃত নিউজ প্রকাশনার জন্য আবেদন করছি।