সাংবাদিক মোঃ রফিকুল ইসলাম রতন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ
০৬/০৪/২০২২ তারিখ চাকুরী প্রার্থী সোহেল মিয়া সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকুরীর জন্য টাংগাইল ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে অপেক্ষমান তালিকাভুক্ত হয়৷বাদী মোঃ মঞজুল হক (৬০), পিতা মৃত-হোসেন আলী শেখ, মাতা মৃত-মিছিলের মা, সাং-পাইকপাড়া, ডাকঘর-বড়ই উনদ, থানা-দূর্গাপুর, জেলা-নেত্রকোনা এর ছেলে অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে মরুমে জানতে পারিয়া প্রতারক ১। মোঃ আইনুদ্দিন (৫০), পিতা মৃত-আঃ রশিদ, মাতা মৃত-হাজেরা খাতুন, সাং গনেশ্যামপুর (মনতলা), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ ২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৮), পিতা-মোঃ গোলাম মোস্তফা, মাতা-মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, সাং-গোয়ারি, থানা-মুতাগাছা, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয় চাকুরী প্রাথী সোহেল এর মোবাইল নাম্বারে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার হতে ফোন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে আমাকে চাকরি পাইয়ে দিবে বলে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা চূড়ান্ত করতে চাকুরী প্রার্থীকে ময়মনসিংহে আসিয়া তাহাদের সাথে কথা বলতে বলে। আসামি মোঃ আইনুদদিন (৫০) নিজকে সেনা সদস্য এবং আসামি মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৮) নিজকে আরমি অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয়।বাদীর ছেলে সোহেল এর চাকুরীটা খুব প্রয়োজন থাকায় গত ২৩/০৪/২০২২ খ্রিঃ তারিখ উক্ত আসামিদের সাথে কথা বলার জন্য সোহেল ও তার মামা জনি মিয়া (২০) কে সাথে দিয়ে ময়মনসিংহ আসে৷ বাদীর ছেলে সোহেল মিয়া এর চাকুরীর জন্য আসামিয়ূবয় ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ) টাকার বিনিময়ে বাদীর ছেলেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে চাকুরি পাইয়ে দেবার কথা চূড়ান্ত করে এবং শর্তানুযায়ী গত ২৩/০৪/২০২২ খরিঃ তারিখ বিকাল ০৩.৬০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন গনেশ্যামপুর (মনতলা বাজার) মোঃ বিল্লাল হোসেন এর মনোহরী দোকানের ভিতরে আসামিদুবয়কে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করে। আসামিরা বাদীর ছেলে নিকট হইতে কৌশলে মূল সারটিফিকেট ও চাকুরী সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে দেয়। আসামিদের শর্ত অনুযায়ী ১১/০৫/২০২২ তারিখ অবশিষ্ট ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও বাদী পুরোপুরি টাকা সংগ্রহ করিতে না পেরে জমি বিক্রয়ের ২,২০,০০০/-(দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা নিয়ে বাদীর ছেলে সোহেল মিয়া সংগীয় মোঃ জলিল মিয়াকে সাথে নিয়ে ময়মনসিংহে আসে। আসামিদের শর্ত অনুযায়ী ১১/০৫/২০২২ তারিখ অবশিষ্ট ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও বাদী পুরোপুরি টাকা সংগ্রহ করিতে না পেরে জমি বিক্রয়ের ২,২০,০০০/-(দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা নিয়ে বাদীর ছেলে সোহেল মিয়া সংগীয় মোঃ জলিল মিয়াকে সাথে নিয়ে ময়মনসিংহে আসে৷ আসামি ১। মোঃ আইনুদ্দিন (৫০), ২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৮) ফোন করে পূরবে জায়গায় চলে যেতে বললে বাদী তাহার ছেলে ও সংগীয় ইউপি সদস্যসহ কোতোয়ালী থানাধীন গনেশ্যামপুর (মনতলা বাজার) মোঃ বিল্লাল হোসেন এর মনোহরী দোকানের সামনে যান। ১১/০৫/২০২২ তারিখ বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌছিলে আসামিরা বাদী, বাদীর ছেলে ও সংগীয় ইউপি সদস্য ডেকে নিয়ে দোকানের ভিতর বসায়। বাদীর নিয়ে আসা ২,২০,০০০/-(দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা আসামি দেলোয়ার হোসেন এর হাতে তুলে দিলে সে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা আসামী আইনুদুর্দিনকে এবং ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা তাহার নিজের পকেটে রেখে দেয়। আসামিরা আকসমিক বাদীকে ও বাদীর ছেলেকে দোকানের অভ্যান্তরে অবরোধ করে রাখে এবং আরো ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দাবী করে৷ দাবীকৃত টাকা প্রদান করতে না পারলে, তাদের নিকট থাকা বাদীর ছেলের মূল সারটিফিকেট ও চাকুরী সংক্রান্ত কাগজপত্র বিনষ্ট করে দিবে মরমে হুমকি দেয়। এই সংক্রাতে ডিবি পুলিশ সংবাদ পেয়ে মাননীয় পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নিরুদেশ ১১/০৫/২০২২ তারিখ ১৯/০৫/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ১৮.৫০ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতারক চক্ররের সদস্যদেরকে আটক করে এবং চাকুরী প্রারথী ও বাদীকে উদ্ধার করে। প্রতারকদের নিকট হতে চাকুরী প্রাথীর নিকট নেওয়া ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা ও প্রারথীর সারটিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। এই সংকরাতে বাদী থানায় অভিযোগ করলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৪৮, তারিখ-১২/০৫/২০২২ রিঃ ধারা- ধারা-৫৪২/৩৮৫/১৭১/৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। ১২/০৫/২০২২ তারিখ গরেফতারকৃত প্রতারকদ্বয়কে ০৫ দিনের পুলিশ রিমাডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে সোরূপদ করা হয়েছে।