———————–
স্টাফ রিপোর্টার
———————–
মেহেরুন্নেছা বেগম কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর জাকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিক তাঁর স্বামী আবুল কাশেম উপজেলার মসূয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গতকাল সোমবার সকালে মেহেরুন্নেছা কটিয়াদী থানায় এসে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক চাওয়া ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলা হওয়ার কিছুক্ষণ পর আবুল কাশেমকে
গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠায় পুলিশ দাম্পত্যজীবনের দেড়যোগ পর স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ আনা ও শিক্ষক স্বামী গ্রেপ্তার হওয়ায় ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে মেহেরুন্নেছার বাড়ী কটিয়াদীর আচমিতা ইউনিয়নের ভিটাদিয়া।গ্রামে আবু কাশেম একই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কয়েক বছর ধরে তাদের দাম্পত্য বিরোধ চলছে। সম্পত্তি এই বিরোধ বড় আকার ধারণ করে। মেহেরুন্নেছার অভিযোগে উল্লেখ করা হয় স্বামী তার কাছ থেকে এখন যৌতুক হিসেবে ২৫ লাখ টাকা দাবি করেছেন। কিন্তু তিনি তা দিতে চান না। এই নিয়ে স্বামী তার উপর এখন শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। মেহেরুন্নেছা বলেন আমার উপর
স্বামীর অবহেলা ও নির্যাতন এতটাই বড় হয়েছে শেষে বাধ্য হয়ে পুলিশের আশ্রয় নিতে হয়েছে পুলিশের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আবুল কাশেমের আত্মীয় মনিরুলজ্জামান বলেন মূলত আবুল কাশেম গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ও পেশায় শিক্ষক। বিষয়টি প্রথম স্ত্রী মেনে নিতে পারছেন না।পুলিশ হেফাজতে আবুল কাশেম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বলেন লম্বা দাম্পত্য জীবন শেষে যৌতুকের অভিযোগ হাস্যকর। তবে তিনি স্বীকার করেন কেনো একটি বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছেনা।
কটিয়াদী থানার পরিদর্শক(তদন্ত)
কাজী মোঃ মাহফুজ হাসান সিদ্দীকি বলেন গ্রেপ্তার প্রধান শিক্ষককে বিকালে আদালতের
মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ
কারাগারে পাঠানো হয়েছে।