বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
রাজবাড়ী গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে কৌশলে মাসের-পর-মাস গায়েব হয় জ্বালানি তেল এবং তেল বিক্রয়ের টাকা। এভাবে প্রতি মাসে প্রায় হাজার হাজার টাকার তেল চুরি করা হয় ।গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের শক্তিশালী চোরচক্র প্রকাশ্যে দিনের পর দিন এভাবে তেল চুরি করে আসছে। সম্প্রতি রাজবাড়ী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাজবাড়ী ফিলিং স্টেশনে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার আক্কাস আলী তেল কিনতে যান গত ৩ এপ্রিল।
ঐ দিন যথারীতি তেলের চাহিদা অনুযায়ী ডিজেল ৪০০ লিটারের বদলে ২৮০ লিটার নেন বাকী ১২০ লিটার ডিজেল বিক্রয় করে নগদ টাকা নিয়ে নেন। তেমনি অকটেন ২০০ লিটার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তিনি ১০০ লিটার অকটেন নিয়ে বাকি ১০০ লিটার অকটেন বিক্রি করে নগদ টাকা বুঝে নেন। ১০০ লিটার অকটেন ও ১২০লিটার ডিজেল যাহার বাজার মূল্য ১৬,৭০০ টাকা বুঝে নেন আক্কাস আলী।যাহার নিজের মুখের স্বীকারোক্তি অডিও রেকর্ড ভিডিও কল রেকর্ড পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ফিলিং স্টেশনের একজন কর্মচারি জানান তারা সব সময় কম তেল নিয়ে বেশি তেলের ভাউচার করে নগদ টাকা নিয়ে নেন। এছাড়া তিনি বিনা প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া যেকোনো সময় সরকারি গাড়ি নিজের কাজে ব্যবহার করে থাকেন। তিনি যে কোন অগ্নিকান্ডে যতটুকু সময় পাম্প চালানো হয় তার দ্বিগুণ সময় দেখান যা নিয়মের বহির্ভূত ।অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনায়/ট্রান-আউটে যাওয়ার অফিসিয়াল নির্দেশনা থাকলেও তিনি অধিকাংশ সময়ই জান না।
তিনি শুধু তেল বিক্রয়ের সাথে জড়িত নন, তার আরো অনেক কুকীর্তি রয়েছে। তিনি ফায়ারসার্ভিস অফিসে বহিরাগত বস্তির মেয়ে এনে নাচগান করান এবং নিজেও নাচেন।
ফায়ার সপ্তাহ উপলক্ষে তিনি বহিরাগত দুইটি মেয়ে এনে অফিসে মধ্যেই নাচ গান করান এবং তিনি নিজেও তাদের সাথে নাচেন যাহার ভিডিও সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌছায় ।পরবর্তীতে আরো একদিন স্বর্না নামের একটা বহিরাগত বস্তির মেয়ে যাহার বাবার নাম বাদল শেখ(বুইদা) মাতার নাম জোহরা তার অতিথি কক্ষে ডেকে নেন এবং কুপ্রস্তাব দেন,মেয়েটি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাব-অফিসার আক্কাস আলী তাকে হাত ধরে টানা টানির এক পর্যায়ে মেয়েটি কক্ষে থাকা কাচের টি টেবিলের উপর পরে তাহার কোমরে কাচের টুকরো ঢুকে মারাত্মক যখম হয় এবং অফিসে থাকা ১ম কল পানিবাহী গাড়িতে করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান যাহা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত ।সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং মেয়েটির কোমরে চারটি শোলাইও লাগে যাহা মেয়ের ও মেটির পরিবারে সাথে কথা বলে সত্যতা পাওয়া যায়। এখানে উল্লেখ্য যে ঔ সময়ে ২য় কল গাড়ীটি রাজবাড়ী জুটমিলের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভানোর কাজে ব্যাস্ত ছিলো।
অত্র প্রতিষ্ঠােনে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় সাব অফিসার আক্কাস আলী বিভিন্ন অজুহাতে স্টাফদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। চাঁদা না দিলে স্টাফদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ও ছুটি বন্ধ করে দেন। তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের দূরে বদলি করিয়ে দেন তার নিজ ক্ষমতার বলে।তেমনি মিথ্যা নাটক সাজিয়ে দুইজন ড্রাইভারকে বদলি করে দেন সাব- অফিসার আক্কাছ আলী।
এ বিষয়ে সাব-অফিসার আক্কাস আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমার ভুল হয়ে গেছে,এমন ভুল আর হবে না।
সাব-অফিসার আক্কাস আলীর অপকর্মের বিষয়ে উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন বদলির বিষয়ে আমার জানা ছিলো না,বদলি হবার পরে বিষয়টি আমি জানতে পারি।তিনি আরো বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান সাব অফিসাৱ আক্কাস আলী অসুস্থ থাকার ভান দেখান তিনি ততটা অসুস্থ নন।
গোয়ালন্দ ফায়ারসার্ভিস এর দুজন ড্রাইভার এর বদলির বিষয়ে সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না,বদলি হবার পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি।তিনি আরো বলেন সাব-অফিসার চেনঅব কমান্ড না মেনেই নিজ সার্থে এমনটা করেছেন।