বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ মিলন প্রামাণিকঃ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্যান্ডেল দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বুধবার সকাল পৌনে ১১টায়। এ ঘটনা নিয়ে উপজেলার শিক্ষক সমাজের মধ্যে তোলপার শুরু হয়েছে। ঘটনার শিকার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুল গফুর সরকার বলেন, ২০০৭ সালের ৫ জুলাই মাসে যোগদান করি স্কুলটিতে। এরপর থেকে ভালই চলছিলো পাঠদান। গতকাল বিদ্যালয়ে যথারীতি এসে শ্রেণিতে পাঠদান শুরু করি। পৌনে ১১টার দিকে বিদ্যালয়টির সভাপতি মামদুদুর রহমান রিপন সাহেবের স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া লিজা (৩০) আসে এবং কথা আছে বলে আমাকে শ্রেণি কক্ষ থেকে ডেকে অফিস রুমে আনেন। এ সময় কক্ষে আরো ক’জন অভিভাবক, শিক্ষক ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলো। ওই নারী আমাকে বলে যে, আপনার নামে নারী কেলেঙ্কারী হতে পারে। আপনি বদলী হয়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে যান। এ নিয়ে কথা বলাবলির একপর্যায়ে তার পা থেকে স্যান্ডেল নিয়ে আমাকে এলোপাথারীভাবে মারধর করতে থাকেন। এরপর পরই তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। জানাজানি হলে কুতুবপুর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন এসে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে জান্নাতুল মাওয়া লিজা ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনাতো গতকালই মীমাংসা হয়ে গেছে। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব এসে ঘটনাটির মীমাংসা করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি মামদুদুর রহমান রিপন বলেন, এটি ছিলো একটি মিস্টেক ঘটনা, সেটিতো আপোষ-মীমাংসা হয়েই গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলে নূর নান্নু বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাতো স্থানীয় না। তারা দূর থেকে এসে পাঠদান করেন। যে যার মতো মারধর বা অপমান করলেও কারো কিছু বলার থাকেনা। আমরা ঘটনাটি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ইউএনও সাহেবের কাছে অভিযোগ করবো। কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, ঘটনাটি জানার পর দুপুরে আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক আবদুল গফুর ছাড়া তেমন কাউকে পাইনি। শিক্ষককে মারধর করার ঘটনা খুবই দু:খ জনক। কোন দোষ করে থাকলে তা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানাবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। আমি মিটমাট করে দেইনি।
(সংগৃহীত: ইমরান হোসাইন রুবেল)