ওসমান গনি
মুন্সীগঞ্জর জেলা প্রতিনিধি
কিশোর গ্যাং লিডার মো: রিফাত (২০) পিতা শহীদ মীর এর নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং সেকেন্ড ইন কমান্ড সৌরভ (১৮) পিতা মৃত মিয়া মীর, ইউছুফ (১৮), জিসান (১৮) শিমুল (১৯), শান্ত (২১), তানভীর (২০) সহ আরো ১০/১২জন কিশোর গ্যাং মিলে গোসাইবাগ বাবুর মুদি দোকানের সামনে নজরুল ইসলাম (২০) ও এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (১৭) কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং কিলঘুষি ও লাথি মেরে বেদনাদায়ক নিলাফুলা জখম করে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় গোসাইবাগ বাবুর দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের বড় ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত জাহিদুল জানান, কেকে গভ: ইনস্টিটিউশনের শিক্ষার্থী সে। এসএসসি-২২ এর পরীক্ষার্থী। আগামীকাল তার ইংরেজী ১ম পত্র পরীক্ষা। এ অবস্থায় কিভাবে পরীক্ষা দিবে সেটাই এখন ভাববার বিষয়।
আহত বড় ভাই নজরুল ইসলাম (২০) জানান ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। কিশোর গ্যাং লিডার মো: রিফাত (২০) এনটি ফি ছাড়াই ফুটবল টিম নিতে চেয়েছিল। টিম নিতে না পারায় নজরুল ইসলামের মাথায় এসএস পাইপ দিয়ে সজোরে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাং সেকেন্ড ইন কমান্ড সৌরভ (১৮) এর হাতে থাকা এসএস পাইপ দিয়ে জাহিদুলের হাত পা ও বুকে পিটিয়ে বেদনাদায়ক নীলাফুলা জখম করে। দুইভাইকে মাটিতে ফেলে উপর্যপুরি লাথি ও কিলঘুষি মারতে থাকলে আমাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাদী জহিরুল ইসলাম দুইভাইকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: তারিকুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।