বগুড়ার জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মিলন প্রামানিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে এদেশে অসংখ্য মানুষ নিরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। আত্মপ্রচার নয়, আত্মতৃপ্তিই যাঁদের মূল উদ্দেশ্য। মানবতার কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া তেমনই একজন বগুড়ার মোঃ শফিউল আলম (জেমস)। মূলত তিনি আপাদমস্তক একজন ভ্রমণপিয়াসু। ভ্রমণ এর পাশাপাশি তিনি অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে নিজের অর্থায়নে গোপনে এবং প্রকাশ্যে বিভিন্নজনের সাহায্য সহযোগীতা করে থাকে।
তিনি বগুড়া পৌরসভার কর নির্ধারণী শাখার প্রধান তথা এস এস আর থেকে এখন বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার উন্নয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হতে তার কার্যক্রম এবং তার ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর চেষ্টা করে এবং উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে। সে তার সমস্ত প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করে শিক্ষার্থীদের সাথে অদ্যবধি চেষ্টা করে যাচ্ছে ভালো মানুষ গড়তে এবং সেইসাথে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয় প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এবং “সলিডারিটি এগেইনস্ট হাঙ্গার এন্ড ডেপ্রিভেড-(সাহাদ) অর্গানাইজেশনের” চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করেন।
তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তি আজেবাজে চিন্তা আড্ডা থেকে দূরে রাখার জন্য তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ এবং পড়াশুনার প্রতি মনোযোগী করার জন্য তাদেরকে মানসিক ব্যায়াম করান তথা মেডিটেশনের মাধ্যমে তাদের মন-মানসিকতা বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করান। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করার জন্য নিজের পকেট থেকে নিজের অর্থায়নে খেলাধুলার আয়োজন পূর্বক পুরস্কারের ব্যবস্থা করেন। বাচ্চাদেরকে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করার জন্য ক্লাস টেস্টের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনেক সময় গোপনে গরিব শিক্ষার্থীদের নিজ অর্থায়নে তাদের বেতন প্রদান করতে সহায়তা করে। গরিব শিক্ষার্থীদের নিজ অর্থায়নে পোশাক তৈরি করতে সহায়তা করেন। এবং অনেক সময় যাদের জুতা ও ব্যাগ থাকেনা তাদেরকে খুব গোপনে আর্থিকভাবে সহায়তা করে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনে দেয়ন।
বাংলা এশিয়া আইটি সলিউশন এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোঃ সানিউল আলম বলেন, ‘আমি স্যার এর মানবিক কাজ দেখে মুগ্ধ হই। বর্তমান সময়ে যেখানে সবকিছুতেই সো-আপ আর লোক দেখানো মানবসেবার একটা রিতি চলছে, সেখানে একজন মানুষ নিজেকে আড়ালে রেখে মহৎ কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি নিজের পৃষ্ঠপোষকতায় অসহায় হত দরিদ্রের মাঝে শুকনো খাদ্য বিতরণ, মাস্ক বিতর, কৃষক কৃষাণী দের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বন্যায় কবলিত দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণের সাহায্য সহযোগিতা করা । যার কারণে তার প্রতি মন থেকে ভালোবাসা জন্মেছে। উনার এই মহৎ কাজ গুলো প্রচার-প্রচারণার করার দায়িত্ব আমি নিতে চাই কারণ এই ধরনের ভালো কাজ গুলো প্রচার না হলে এই দেশের অসহায় হত দরিদ্রের মাঝে সাহায্য সহোযোদিতা সমাজের উচ্চ বৃত্তদের মাঝে থেকে উঠে যাবে।