জাহাঙ্গীর আলম,
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
মধ্যরাতে নান্দাইল বাজারের প্রবেশ পথ বন্ধ করে একদল। বাজারের ভিতরে থাকা পাহারাদার দের বেঁধে রাখে। স্বর্ণের দোকানগুলো টার্গেট করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে নান্দাইল মধ্যবাজারে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সময় পালাতে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নান্দাইল পৌর সদরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, নান্দাইলে বাজারে রাত ২ টার দিকে ২০-২৫ সদস্যের একদল ডাকাত নান্দাইল মধ্যবাজারে প্রবেশ করে ৷ বাজারের ৭-৮ জন পাহারাদারকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে রাখেন । এর পর রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ জুয়েলারী ও আব্দুল মতিন মালিকাধীন মুক্তা জুয়েলারী স্বর্ণের দোকানের তালা ভেঙ্গে ডাকাতির শুরু করে। এসময় বাজারের মধ্যে টহলরত নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই পূর্ণ চিছাম সহ পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় পুলিশের সন্দেহ হলে সামনে আগালে ডাকাতদলের কয়েকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। দুই দোকান থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ, ৮০-৮৫ ভরি রোপা ও নগদ প্রায় ১০ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ডাকাতির ঘটনায় বিসমিল্লাহ জুয়েলারি স্বর্ণের দোকানের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, রাত ৩ টার দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি আমার স্বর্ণের দোকান থেকে ১৩ ভরি স্বর্ণ,৫০ ভরি রোপা ও নগদ ৪লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
মুক্তা জুয়েলারি দোকানের মালিক আব্দুল মতিন বলেন,আমার দোকানের থাকা ৪ ভরি স্বর্ণ,৩৫-৪০ ভরির মত রোপা ও নগদ ৪ লাখ টাকার মত তালা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমাদের ব্যবসায়ী সমিতির সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই পূর্ণ চিছাম বলেন, আমরা রাতের বেলায় টহল দিচ্ছিলাম
মধ্যবাজারে ঢুকতেই ১০-১২ জন ব্যক্তি দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এসময় সামনে এগিয়ে গেলেই বুঝতে পারি এরা ডাকাত। পরে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যান।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ মুঠোফোনে বলেন, নান্দাইল মধ্য বাজারে রাত ২ টার দিকে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি অতি শীগ্রই জড়িতদের খোঁজ পেয়ে যাব। ডাকাতির ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে কেউ অভিযোগ না দিলেও আমরা খুঁজে বের করবো।
##