ওসমান গনি
মুন্সীগঞ্জর জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ীতে অনাবৃষ্টি ও খাল বিলে পানি না থাকায় পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছিল পাট চাষীরা। এক দিকে অনাবৃষ্টিতে ক্ষেতে পাট পুড়ছিলো অন্য দিকে খাল বিলে পানি না থাকায় পাট কাটার পর পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছিল এ অঞ্চলের পাট চাষিরা। যার ফলে হতাশায় ছিল পাট চাষিরা। পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কষ্ট ও হতাশার মধ্যে থাকলেও পাটের দাম ভাল পাওয়ায় সকল কষ্ট ও হতাশার ভুলে গিয়ে সোনালী আঁশে হাসি ফুটেছে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাট চাষিদের মুখে। চলতি মৌসুমে পাট চাষের প্রতিকুল আবহাওয়া থাকলেও পাটের দাম ভাল পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছে পাট চাষিরা ।
বর্তমানে এ উপজেলায় প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৭ শ” থেকে ২৮ শ’ টাকা দরে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক কৃষানীরা পাটের আঁশ ছড়াতে ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও কৃষকদের আড়তে গিয়ে পাট বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাট চাষ হয়েছে প্রায় চলতি মৌসুমে পাট চাষ হয়েছে ১০০০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমে এ উপজেলায় পাট চাষ হয়ে ছিল ১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে । টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং,হাসাইল, বালিগাও ,দিঘীড়পাড়, ইউনিয়নে বেশী পাটের চাষ হয়েছে।
উপজেলার বায়হাল গ্রামের পাট চাষি আওলাদ মোসেন মৃধা বলেন, চলতি মৌসুমে অনা বৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পাট গাছ পুড়ে যাচ্ছিল। পাট কাটার পর খাল বিলে পানি ছিল না বলে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে পড়তে হয়েছিল বিপদে। ।
তাই পাট নিয়ে খুব দুশচিন্তায় ছিলাম।
তিনি আরো বলেন, পাটের ফলন বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ মণ করে হচ্ছে। তবে পাটের দাম ভাল পাওয়ায় আর কোন দুশচিন্তা নেই। সকল ক্ষতি পুষিয়ে লাভ হবে।
বায়হাল গ্রামের অন্য আরেক শামছুল হক বেপারী ( ৭০) বলেন, দেড় বিঘা পাট চাষ করে ছিলাম। খাল বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তাই ক্ষেতেই বিঘা প্রতি ১০ হাজার টাকা করে পাট বিক্রি করে দিয়েছি। এতে আমার লস হয়নি। পাট চাষের খরচ উঠে কিছু লাভ হয়েছে। বর্তমানে পাটের যে দাম, যদি কষ্ট করে পাট কেটে জাগ দিতাম তাহলে লাভ ভালো হতো।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি অফিসার আমাদের কে বলেন, অনাবৃষ্টির কারনে পাটের কিছুটা ক্ষতি ও খাল বিল ডোবাই পানি না থাকায় ক্ষেত থেকে পাট কেটে জাগ দেওয়ার জন্য কৃষকের কিছুটা সমস্যা হলেও পাটের দাম ভাল পাচ্ছে কৃষকেরা। এতে করে কৃষকেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে।