এমদাদ সুমনঃ
ছাত্রদল কর্মীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী দাবী করে মামলার ঘটনা ঘটে সুনামগঞ্জে। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯ ঘটিকার দিকে সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় ছাত্রলীগ কর্মী রাজ এবং ছাত্রদল কর্মী মো. মোশাহিদ রহমান কুটি এর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি থেকে দুই পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এসময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহত ছাত্রদল কর্মী সুনামগঞ্জ শহরের উত্তর আরপিননগরের মকসদ আলীর ছেলে মো. মোশাহিদ রহমান কুটি, সোমপাড়ার নুরুল আহমদের ছেলে শামীম আহমদ এবং মল্লিকপুরের সাদ্দাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উক্ত ৩ জন ছাত্রদল কর্মীকে নিজেদের কর্মী হিসেবে দাবী করছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী।
এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী মো. মোশাহিদ রহমান কুটি বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নোমান বখ্ত পলিনসহ ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা করেছেন। সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ মামলার এক নম্বর বিবাদী শহরের মুক্তারপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী রাজ (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে, ছাত্রলীগ কর্মী রাজ ও ছাত্রদল কর্মী কুটি’র মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টায় শহরের উকিলপাড়ায় জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী এবং ছাত্রদলের কর্মী মো. মোশাহিদ রহমান কুটি সহ কয়েকজন নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। একইসময় সেখানে অবস্থান করছিলেন রাজসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে দুই পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে মামলার বিবাদী সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নোমান বখ্ত পলিন বলেন, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী ছাত্রদলের ছেলেদের সাথে হাত মিলিয়ে শহরে শান্তি নষ্ট করছে। ঘটনাটি উস্কানিমূলক ছিলো বলে আমি মনে করছি। দীর্ঘদিন যাবত তারা ছাত্রদলের ছেলেদের সাথে নিয়ে ছাত্রলীগের ভিন্ন প্যানেলের মধ্যে বিবাধ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি উস্কানিমূলক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো বলেও তিনি দাবী করেন।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী মিডিয়াকে জানান, এই ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।