____________________________
মাঈনউদ্দীন মিন্টু দৈনিক বাংলাদেশ একাত্তর সংবাদ নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ-
হীরা মুক্তা সোনা রুপা সবখানে হয়না, যেখানে এই সব অতি মূল্যবান ধাতব পাওয়া যায় সেই মাটিকেই সোনার মাটি বলে।
যাদের কাছে এটা চেনার জ্ঞান নেই তারা তার সন্ধান পায়না বা মূল্য দিতে জানেনা।
পৃথিবীতে বর্তমানে ২৫০ এর অধিক সীকৃত রাষ্ট্র আছে। প্রতিটি দেশের মাটিতে কোন না কোন প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ রয়েছে।
হীরক খন্ড থেকে সাধারন মানব সম্পদ সবই দেশ বা রাষ্ট্রের মূল্যবান সহায়ক শক্তি।
বাংলাদেশেও গ্যাস কয়লা তৈল মানব সম্পদ ইত্যাদি দিয়ে রাষ্ট্রের ধনভান্ডার পরিচালিত।
আবার মানব সম্পদেরও সেক্টর অনুযায়ী ভিন্নতা রয়েছে। উত্তর বংগে ব্যাপক ফসলী জমি নানান ফলনে দেশকে সহযোগীতা করে বিশেষ করে দিনাজপুরের কয়লা খনি। সিলেটে লন্ডন আমেরিকার খনি আবার আছে চা পাতা আর পাথরের খনি যেমন চাঁদপুরে ইলিশের খনি।
তেমনি নোয়াখালীতে আছে লক্ষ লক্ষ রেমিটেন্স যোদ্ধার খনি ও রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষ নেতার খনি। সারা বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ রেমিটেন্স যোগান দাতা হলো বৃহত্তম নোয়াখালী।
ওয়াসিংটন, নিউিয়র্ক, লন্ডন হলো কোম্পানীগন্জের হাট বাজার। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে নোয়াখালী বাসি। এরমাঝে এক টুকরা ভূখন্ডের নাম বসুরহাট (কোম্পানীগন্জ)
আমি বিষয়টি ইতিহাস আকারে তুলে ধরবো ভাংগার নিক্সন চৌধুরীদের মতো ইতিহাস জ্ঞানহীন দের জ্ঞাতার্থে।
বসুরহাটের অপর নাম রাজনীতির বীজতলা, যেখান থেকে যৌগ্য নেতার উৎপাদন হয়। তরুন নিক্সন চৌধুরী বংগবন্ধু পরিবারের লতার লতা সুবাধে নাম ভাংগিয়ে সাংসদ। ইতিহাস,রাজনীতি, জুনিয়র সিনিয়রের মর্যাদা শিখার আগেই মহান আইন প্রাসাদের সদস্য। তাঁর কাছ থেকে নোয়াখালী বাসি এর চাইতে বেশী আশা করাও বোকামী। আমি মনোযোগ দিয়েই কাদের মির্জার রিরুদ্ধে তাঁর ভিডিও বক্তব্য শুনেছি।
একজন সিনিয়র ও একনিষ্ঠ রাজনিতিক জনাব মির্জা কাদেরের বিরোধিতা করতে গাল ভেস্কিয়ে ব্যাংগাত্বক ভাষায় তিনি নোয়াখালী বাসিকে একহাত নিলেন। গত ৭/৮ বছর আগে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের রাজনীতির কাউয়া শব্দ নিয়ে দেশে ব্যপক আলোচিত হয়। তিনি হয়ত কাউয়া বলতে নিক্সন চৌধুরী মার্কা হাইব্রিডদের বুঝিয়েছিলেন। যারা বংগবন্ধু ও শেখ হাছিনার সুসময়ের অন্ধ ভক্ত। এই ভক্তদের পূর্বসুরীরাই শেখ হাছিনার পিতা বংগবন্ধুর লাশ ফেলে আত্বগোপন করেছিলেন। এই নোয়াখালী কোন্পানীগন্জ ৫ আসনের সূর্য সন্তান জনাব আবদুল মালেক উকিল আওয়ামীলীগের পূন:জন্ম দাতা আর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পূন:জীবন দাতা জনাব ওবায়দুল কাদের। জেনারেল জিয়ার শাষন আমলে হাঁ না ভোটের বিরুদ্ধে কথা বলার বৃহত্তর ফরিদপুরের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রুপসা থেকে পাটুরিয়া চষে বেড়িয়েছেন মালেক উকিল আর ওবায়দুল কাদের। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭৯ সালের সংসদে ৩৯ জন সাংসদ নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়। এই নোয়াখালীর সন্তান স্বাধীনতার আর্কিটেক্ট সিরাজুল আলম খাঁন, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহ।
এবার হীরক খন্ড কোন্পানীগন্জ নিয়ে কথা বলেই ধৈর্য্যচুতির অবসান করবো। আপনার ভাষায় ব্যাংগাত্বক ছোট্র এলাকা বসুরহাট যাকে রাজনীতির বীজতলা উল্লেখ করেছিলাম। এই ছোট্র বসুরহাট (কোম্পানীগন্জে) এলাকার ধন্য মানব জনাব আবু নাছের চৌধুরী এম সি এ, যিনি কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বংগবন্ধুর রুম মেট ও আওয়ামীলীগ নেতা, জনাব মরহুম আবদুল মালেক উকিল, জনাব ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, জনাব ওবায়দুল কাদের, জনাব আবু নাছের মো: আবদুজ্জাহের (জামাতের হাই কমান্ড ও ইসলামী ব্যাংকের, ইবনেসীনার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান) জেনারেল জিয়ার ঘনিষ্ঠ ও মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল এনাম চৌধুরী, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড: আমিনুল ইসলাম মুকুল, নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার শাহাদাত হোসেন, বি ডি ফুডের চেয়ারম্যান বদরোদ্দোজা মমিন।
আর আবদুল কাদের মির্জা নামটি এতই আওয়ামী পরিবারের ঘনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ও কাদের গংদের মায়ের নাম রত্নগর্ভা বেগম ফজিলাতুন নিসা। আওয়ামী সুবাতাশ নয় বরং দলের দুর্দিনে স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগ নেতা, সরকারী মুজিব কলেজের ১৯৮০ সালের নির্বাচিত ভিপি, ৪ বারের নির্বাচিত মেয়র ও উন্নয়নের কারিগর। করোনার বিপর্যয়ে লুকিয়ে না থেকে ত্রান নিয়ে সকলের দরজার কড়া নাড়িয়েই জনপ্রিয় নেতা ও সময়ের সাহসী সন্তান। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে সম্মান দিতে শিখুন কারন কাদের পরিবারকে হাইব্রিড কাউয়ারা না চিনলেও বংগবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা ভুলেন নাই। নিক্সন চৌধুরীরা ইতিহাস জেনে হিসেব কষে ত্যাগী কাদের পরিবার ও নোয়াখালী বাসিকে সম্মান দিয়ে কথা বলার সৌজন্যতা শিখুন।
(হাফিজ ছিদ্দিকী ২২/০১/২০২১ ইং)
উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব কামাল ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত