মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের সোনালী আঁশ পাট। ফলন ও মানের দিক দিয়ে তাড়াশ উপজেলা সর্বচ্চ স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে উপজেলায় পাট কাটার ধুম পড়েছে। পানির কোন অভাব নেই চার দিক তাকালে শুধু পানি আর পানি পাটের বাম্পার ফলনের আশা করেছে কৃষকরা।
জানা যায়, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষকের পাট ও পিয়াজ অন্যতম ফসল। বীজ বপন করার ৪০/৫০ দিন পরেই পাটক্ষেতে বাচট দেওয়া হয় বা ছোট ছোট পাট কেটে পঁচানো হয়। এটা এই এলাকায় বাচপাট বলে পরিচিত। বাচপাট কাটার ১ মাস পরেই বড় পাট কাটা হয়ে থাকে। এবছরে এই উপজেলায় পাটের আবাদ প্রচুর চাষ করা হয়েছে। প্রথম দিকে আবহাওয়া ভাল থাকায় পাটের অনুকুলে ভাল থাকায় প্রচুর পাট হয়েছে বলে ধারনা করা হয়েছে। কৃষকরা তাদের প্রধান ফসল পাট উৎপাদনের জন্য সেলোমেশিন দিয়ে সেচের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে পাট কাটার ধুম পড়ে গেছে। পাটের বীজ বপন করার আগে থেকে ১মাস পর্যন্ত কোন বৃষ্টি না থাকায় পাট চাষীরা চরম বিপাকের মধ্যে থাকলেও বর্তমানে পাটের বাম্পার ফলন হচ্ছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন ইউনিয়নের পাট চাষীরা বলেন, প্রথমে বৃষ্টির অভাবে পাট নিয়ে বিপদে থাকলেও বর্তমানে পাট কাটার পরে মনে আনন্দ দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন আগে থেকে পাট কাটা শুরু হয়েছে, আর ১০/১৫ দিনের মধ্যে সকল এলাকার পাট কাটার কাজ শেষ হয়ে যাবে। পাট যে অবস্থায় আছে, তাতে পাট ছাড়ানোর কাজ শেষে বাম্পার ফলন হবে। পাটক্ষেতে পানি আসলে পাট চাষিরা মনের স্বাচ্ছন্দে পাট কাটার কাজ ও পঁচানো শেষ করতে পারবে। পাট গাছ দেখে প্রতিটি কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নেহার বলেন, এবছরে এই উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে প্রায় ৬ হাজার ২০০ শো ৭০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে পাটের অবস্থান খুবই সন্তোষজনক। পাট কাটার কাজ শুরু হয়েছে। এবার পাটের যে ফলন হবে তাতে পাট চাষিরা লাভবান হবে।
মোঃ মুন্না হুসাইন
তাড়াশ,সিরাজগঞ্জ
মোবাইল 01735936294