পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) বিজয়ের মাসকে কেন্দ্র করে বাংলা বিভাগে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসব শুরু হয়েছে। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর‘।
আজ রোববার সকাল ১০টায় বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে র্যালি বের করা হয়। এরপর পাঁয়রা উড়িয়ে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাউদ্দীন।
বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষক সুমন শামস এবং আরিফা বিশ্বাসের সঞ্চালনায় এক এক করে জাতীয় সংগীত, শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এক মিনিট নীরবতা পালন, অতিথিদের বরণ করে নেওয়া, অতিথিদের বক্তব্য, গান, নৃত্য, অভিনয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিজয়ের মাস চলছে। আর এই বিজয়ের মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ অত্যন্ত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যার জন্য আমি বাংলা বিভাগকে অভিনন্দন জানাই। এই বর্ণিল আয়োজনে আমি আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিজয় অনেক দিক দিয়ে হয়েছে। দেশের বিজয়ের সঙ্গে আমাদের মানসিকতার বিজয়, আমাদের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের বিজয়, চিন্তার বিজয় হয়েছে। এই বিজয়কে শুধু পাওয়া না এটাকে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন আমাদের বড় কাজ। আমাদের বিজয়, স্বাধীনতা এগুলো সব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা যখন চিন্তায় মননে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাব তখনই আমরা স্বাধীনতা পাব। আমরা শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতাই পাইনি বরং আমরা চিন্তার স্বাধীনতাও পেয়েছি। আমরা যখন স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারব তখন আমরা স্বাধীনভাবে এগিয়ে যেতে পারব।
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মীর হুমায়ুন কবীর বিপ্লব বলেন, আমি আজকের দিনে অত্যন্ত আনন্দিত। এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অভিভাবককে পেয়েছি সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার সরকার, প্রক্টর মো. কামাল হোসাইন, সহকারী প্রক্টর মো. মাসুদ রানা, ড. মো. লোকমান আলীসহ বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।।
সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে থাকছে সংগীত, নৃত্য, বিতর্ক, আবৃত্তি, অভিনয়, রচনা এবং সুন্দর হস্তলিপি প্রতিযোগিতা। সমাপনী দিনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. এম আবদুল আলীম জানান, বাংলা বিভাগ সব সময় এদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে লালন করে। আমরা এমন আয়োজন করতে পেরে সত্যি আনন্দিত। সংগীত, নৃত্য, বিতর্ক, আবৃত্তি, অভিনয় এসবের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সংস্কৃতিকে লালন করতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি।