মোঃ রফিকুল ইসলাম রতন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধ।
ভালুকার ফার্ম থেকে অজ্ঞতনামা চোর কর্তৃক ২৯ মে রাতে ১০ টি গরু চুরি হওয়ার পর ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে চোর সনাক্ত করে ০৭টি চোরাই গরু উদ্ধার, চোরাই গরু বহনে ব্যবহৃত ০২টি পিক-আপ আটক এবং আন্তঃ জেলা গরুচোর চক্রের ০৫ সদস্য গ্রেফতার করেছে।
২৯ মে গভীর রাতে ভালুকা থানাধীন জামিরদিয়া এলাকার বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট নামক একটি ডেইরী ফার্মে ১০ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। ভালুকা মডেল থানার মামলা নং-৬৫, ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু হয়। গরু চুরির সংবাদ পেয়ে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) পুলিশ একটি চৌকস টিম নিযুক্ত করা হয় । ডিবি টিম ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে ৩১ মে ময়মনসিং তোহ জেলার নান্দাইল থানাধীন কানারামপুর হতে গরুচোর দলের মূলহোতা মোঃ রাজীব হোসেন সবুজ (৩০)কে গ্রেফতার করে । সবুজের দেয়া তথ্য মতে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকা হতে রাতে বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টের চুরি যাওয়া ০৭ টি গরু উদ্ধার এবং কাইয়ুম (৪২)কে গ্রেফতার করে।পুলিশ জানায়, এই চক্রের সদস্য সবুজ ও কাইয়ুমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামি সবুজ ২০মে কিশোরগঞ্জ কারাগার হতে “গরু ভর্তি ট্রাক ডাকাতি মামলায়” জামিনে মুক্ত হয়েই গরুচোর চক্র গঠন করে । বিভিন্ন এলাকায় ছদ্দবেশে ডেইরী ফার্ম ঘুরে ঘুরে চুরির পরিকল্পনা চুড়ান্ত করে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮মে রাত প্রায় ১১.৩০ ঘটিকায় সবুজের নেতৃত্বে ০৯ জন আন্তঃজেলা গরুচোর দুটি পিক-আপভ্যান এবং গৃহ ও দেয়াল ভাঙ্গার বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি-সরঞ্জামাদিসহ ভালুকা জামিরদিয়া এলাকায় আসে । চক্রেরসদস্যরা পিক-আপভ্যানসহ ঢাকা-ময়মসিংহ মহাসড়কে অবস্থান করে রাস্তাঘাট নির্জন হওয়ার অপেক্ষা করে । রাতের গভীরতায় রাস্তঘাট নির্জন হলে ২৯ মে রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় বেলেজিং ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্টে গিয়ে প্রথমে দেয়াল ভেঙ্গে চোরদের প্রবেশ ও গরু নিয়ে বাহির হওয়ার পথ তৈরী করে। ডেইরী ফার্মে প্রবেশ করে ১০ টি গরু নিয়ে দুটি পিক-আপ ভ্যানে তুলে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় নিয়ে যায় । ডিবি,র অভিযান দল ধারাবাহিক সাহসী অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া এলাকা হতে গরু বহনে ব্যবহৃত ১টি পিক-আপ সহ মোঃ নাহিদ হোসেন (২৫) ভালুকা মাস্টারবাড়ী এলাকা হতে দ্বীন ইসলাম (২৮) এবং জামালপুর ও বগুড়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে খাইরুল (২৩)কে ১টি পিক-আপসহ আটক করে। গ্রেফতারকৃত মোঃ রাজিব হাসান সবুজ (৩০) এর বিরুদ্ধে ৫টি গরু চুরি এবং ১টি গরু ডাকাতি মামলা, কাইয়ুম এর বিরুদ্ধে ০২টি গরুভর্তি ট্রাক ডাকাতি এবং ১টি গরু চুরি মামলা, নাহিদ এর বিরুদ্ধে ০২টি গরু চুরি ও ১টি মাদক মামলা, দ্বীন ইসলাম এর বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা এবং খায়রুল এর বিরুদ্ধে ১টি গরু ডাকাতি ও ১টি মাদক মামলা রয়েছে। পলাতক অন্যান্য গরুচোরদের গ্রেফতার ও অবশিষ্ট চোরাই গরু উদ্ধারের জন্য একাধিক ডিবি টিম নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।