ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার
মুন্সীগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম সড়কে প্রতি নিয়ত অনাকাংখিত যানজট লেগেই থাকে।অতিরিক্ত ব্যাটারিচালিত ইজি-বাইক চলাচল এবং রাস্তার পাশে নির্মান সামগ্রী ইট,বালু সিমেন্ট রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাকেই যানজটের প্রধান কারন বলে দাবী পথযাত্রী অনেকের।প্রতিদিন সকালে অফিস টাইম হলেই মুন্সীগঞ্জ বাজারের রোডে কাচারী পর্যন্ত জ্যাম লেগেই থাকে। শহরের ব্যস্ততম সড়ক গুলোতে এখন যাত্রীর তুলনায় ইজি-বাইকের সংখ্যা বেশী দেখা যায়। ইজি-বাইকের চালকরা রাস্তায় যেখানে সেখানে অটো থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করে। নিয়ন্ত্রহীনভাবে অটো রিক্সা চলাচলের কারনে প্রতিদিনয়ত দূর্ঘটনা ঘটাছেই।কাচারী মোড় থেকে কলেজ রোডে কোন রিক্সা সহজে ঢুকতে পারেনা।দক্ষিন দিকে কাচারী চত্বরে জেলা শিল্পকলার সামনে গড়ে উঠেছে ইজি-বাইক ও নসিমন করিমন এবং স্যালো ইঞ্জিন চালিত বডবটির স্টান্ড।এতে করে কোর্ট,ডিসি অফিস, পুলিশ সুপার কার্যালয়,জেলা পরিষদসহ সরকারী গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে যেতে হলেও যানজট পোহাতে হয় সাধারন যাত্রীদের।মুন্সীগঞ্জ শহরের পৌর ভবনের সামনেও গড়ে উঠেছে সিএনজি ও অটো ষ্টেন্ড।এ সিএনজি স্টান্ডের কারনে পৌর ভবনের পরিবেশ অনেকটা কোলাহল পূর্ন হয়ে উঠেছে।স্টান্ড ঘেষেই রয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।এ সব সিএনজি,ব্যাটারি চালিত ইজি- বাইকের স্টান্ড হওয়ার কারনে রাস্তাটি দিয়ে সকাল হলে পথযাত্রী,স্কুল কলেজের ছাত্র- ছাত্রীরা পায়ে হেঁটে কিংবা রিক্সাতে করে যেতেও তাদেরকে বেগ পোহাতে হয়।পৌরসভার পূর্বপাশের প্রধান ফটকের সামনে সিএনজি ইজি-বাইকের চালকরা রাস্তার মধ্যেই যাত্রী উঠানোর জন্য গাড়ী থামিয়ে রাখে।অথচ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশরা দায়িত্ব পালন করছে এ ব্যাপারে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।অপরদিকে পুরাতন কাচারী হতে থানারপুল পর্যন্ত রাস্তার দু”পাশে ফুটপাতে নানা ধরনের দোকান পসরা সাজিয়ে বসে আছে।এসব দোকানের কারনে পথযাত্রীরা ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারেনা।পুরাতন কাচারী রোডে একটা গাড়ী ঢুকলে অন্য একটা গাড়ী বিপরীত দিক থেকে আসলে যানজটের সৃষ্টি হয়।পথযাত্রী চৌধুরী ফরিদ বেপারী বলেন,জেলা শহরে বড় কোন গাড়ী চলেনা অথচ প্রতিদিন অফিস টাইমে রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে।মাঝে মধ্যে মনে হয় এটা জেলা শহর নয় এটা ঢাকার গুলিস্তান।আরেক পথ যাত্রী নাজনীন আক্তার বলেন,সকালে রাস্তায় যানজট বেশী থাকে এতে করে বাচ্চাদের নিয়ে সময়মতো স্কুলে যেতে পারিনা।শহরের ফুটপাত গুলো হকারদের দখলে চলে গেছে।