পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার গজলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের উত্তর হরিদেবপুর গ্রামে তার বাড়ি। বয়স ১০৫ বছর, তার কপালে যোটেনী সরকারী কোন অনুদান। তিনি একবেলা ভালো খাবার ও চিকিৎসার জন্য সরকারি অফিসের দ্বারে দ্বারে। আমি সেই হতভাগা দুঃখিনি ছলেমান বিবির কথাই বলছি। ছলেমান বিবির বাড়ীতে গিয়ে যান যায়, তার স্বামী প্রায় ৩৫ বছর আগে মারা গেছে, ৩টি ছেলে ও দুটি মেয়ে রেখে, খুব কষ্টকরে মেয়ে দুটোকে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলে মাড়া গিয়েছেন। দুই ছেলে তার মায়ের কোন খোজ খবর নেয়না, শেষ পর্যন্ত তার ঠাই হলো বড় মেয়ে কহিনুরের বাড়িতে। কহিনুরের স্বামী একজন দিন মজুর, মাঠে কাজ করে তার সংসার চলে। ছেলে মেয়ে নিয়ে তার সংসারে খুবই অভাব লেগে থাকে, এর মধ্যে তাকে শ্বাশুড়িড় বোঝা বইতে হয়েছে, কহিনুরের স্বামী ফোরকান মিয়া যানান, আমার শ্বাশুরি বর্তমানে অচল, চলাফেরা করতে পারেনা হামাগুরি দিয়ে চলাফেরা করে, টাকার অভাবে তাকে পারিনি একটি হুইল চেয়ার কিনে দিতে, নেই কোন চিকিৎসা, অভাবের সংসারে আমাদেরই চলা এখন দুস্কর। মরন পদযাত্রি আমার শাশুরী যদি একটু সরকারি কোন ভাতা অথবা কোন সরকারি অনুদান পেত তা হলে হয়তো ওনার চিকিৎসা করাতে পারতাম। মানবতার মাতা, মাদার অফ হিউম্যানিটি বঙ্গবন্ধুর মানষ কন্যা জননেত্রী সেখ হাসিনার প্রতি বিনিত অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনি এই অসহায় ছলেমান বিবির প্রতি সহায়তার হাত বারিয়ে দিন।
উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব কামাল ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত