আপনার নানার বাড়ী থেকে মায়ের সম্পত্তি আদায়ের আইনি প্রক্রিয়া জানুন পবিত্র কুরআনে নারীর সম্পত্তির অংশ স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে নারীর সম্পত্তির অংশ স্পষ্ট বলে দেওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে নারী তার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে সম্পত্তি মা তার জীবদ্দশায় উদ্ধার করতে পারেননি তা আপনি কিভাবে উদ্ধার করবেন।
প্রথমে আপনার নানা বা নানীর সকল সম্পত্তির কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এখানে মামা বা মামাতো ভাইরা বাঁধা দিতে পারে। তাই নানার বাড়ি যে তহসিল অফিসের অধীন সেই অফিসে গিয়ে নানা বা নানীর নাম দিয়ে খতিয়ান তল্লাশি শুরু করতে হবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে সম্ভাব্য দাগ নাম্বার দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।
আপনার নানা অথবা নানির জমির দাগ নাম্বার পাশের জমির মালিকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন। খতিয়ান এক বা একাধিক হতে পারে। খতিয়ান পাওয়ার পর আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার নানা বা নানীর নামে সম্পত্তি কি পরিমাণ রয়েছে। তারপর আপনার মায়েরা ভাই বোন কয়জন সেই হিসেবে উত্তরাধিকার হিসেবে আপনার মায়ের কত অংশ পাওয়ার কথা সেটা বের করতে পারবেন।
এবার ঘরোয়া ভাবে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ আত্মীয় স্বজন নিয়ে একবার বসবেন আপনার মায়ের অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। আপনার কাছে যেহেতু কাগজপত্র সব আছে, সেহেতু সালিশ করতে সুবিধা হবে। সালিশদাররা কাগজপত্র পেলে আপনার মামা বা মামাতো ভাই বোনদেরকে সরাসরি সালিশের রায়ের ভিত্তিতে আপনার মায়ের অংশ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করতে পারবে।
কিছু লোক আছে যারা সালিশদারকে মানে না সেক্ষেত্রে নানা বা নানীর জায়গা যে জেলায় অবস্থিত, সেই জেলা জজ আদালতে গিয়ে বাটোয়ারা মামলা করতে হবে। বাটোয়ারা মামলা করতে গেলেও কিন্তু সালিশ করতে যে কাগজপত্র গুলো লাগবে সেগুলো আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে আর একটা লম্বা সময় ধরে আদালতে যাওয়া আসার মানসিকতা রাখতে হবে।
তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর আদালত বাটোয়ারা আইন অনুসারে আপনার মায়ের অংশটি বের করে দিবেন, তখন আইনি প্রক্রিয়ায় আপনারা সেই অংশটুকু বুঝে নিতে পারবেন। তবে এই বাটোয়ারা মামলার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই সম্পত্তি বুঝে পাবেন। আর এই ধরনের সম্পত্তির দখল প্রমাণের কোন দরকার নেই। দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি অন্য কারো দখলে থাকলেও বাটোয়ারা মামলার মাধ্যমে তা উদ্ধার করা সম্ভব।
লেখকঃ আবু ইউসুফ প্রকাশক ও সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।