বাহাদুর চৌধুরী।
স্বামীকে খুশি রাখার ও আগের দিনের মেয়েরা ইসলামী হুকুমতে কিছু কাজ করতেন। আজ সেটার উল্টা করেন।
১) স্বামীর ঘুম থেকে উঠার আগে নিজে উঠে পরিপাটি হয়ে যেতো স্বামী সকাল বেলা দেখেই তার স্বামীর মন ভরে যেতো।।
এখন স্বামী অফিসে যাওয়ার পরও খবর নিয়ে দেখি বউ ঘুমাচ্ছে। আর সাজে শুধু বাহিরের মানুষরে দেখানোর জন্য রাস্তায় বের হলে তাই মনে হয়।।
২) স্বামী কে ফজরের নামাজ এর জন তার ঘুম যেভাবে ভাঙ্গালে সে পছন্দ করতো , সেভাবে তাকে ঘুম থেকে জেগে উঠাইত।
এখন ওই দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়
৩ স্বামীর প্রয়োজনীয় কাজ সেরে অন্য কাজে যেতো।
এখনকার বউরা সামী আসলে সংসারের ব্যস্ততা দেখায়। তার শরীরের খোজঁ খবর নেয় না ঔষধ খায়ছো কিনা সেই খোঁজ নেয়না।
৪) সে কখন বাসায় আসতে পারে তা অনুমান করে পরিপাটি হয়ে তার অপেক্ষা করতো। স্বমির জন্য রাতের খাবার অপেক্ষা করতো সর্বদা হাসি মুখে কথা বলতেন।
বর্তমান যুগের সেরকম খুব কমই দেখা যায়।
৫, স্বামী ছাড়া অন্য সবার সামনে পরিপূর্ণ পর্দা করতো এখন এইটা অনেক ক্ষেত্রে উল্টা হয়ে গেছে।
৬ ) স্বামীর মনে কখনো আঘাত দিয়ে কথা বলতো না।।এখন অনেক জায়গায় দেখা যায় স্বামীকে ছোট্ট করে ইগনোর করেন করে কথা বলা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।।
৭ স্বামী কোন কাজ করতে আদেশ করলে সাথে সাথে হাসি ও খুশির সহিত কাজ করে দিতেন । এখন তার উল্টো
৮ )স্বামীর কাছে থাকাকালীন তার অনুমতি ব্যতিত কোন নফল ইবাদাত করতো না। তারা মনে করতো স্বামীর খেদমত অন্যান্য নফল ইবাদাত থেকেও উওম। বর্তমান যুগে এগুলার মনে করে নাা
৯ )স্বামীর হুকুম ছাড়া স্বামীর মাল থেকে কাউকে দান বা হাওলাত দিতো না কারন তারা যানতেন এটা জায়েজ নেই। এখন স্বামীকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করে দেওয়া কে তারা মনে করে তাদের পার্সোনালিটিতে আঘাত লাগে
১০ স্বামীর কোন দোষের কথা কোন মানুষকে না বলে স্বামীর মাথা যখন ঠান্ডা থাকতো তখন স্বামীকে হাসিমুখে বিনয়ের সহিত তার ভুল ধরিয়ে সুধরে দেওয়ার চেষ্টা করতো । এখনকার বউরা ঘরের কাজের লোকের সামনেও।
১১।)স্বামীর কোন কাজ নিজের মতের বিরুদ্ধে হলেও তর্ক করতো না ।স্বামী যা আনুক এমন ভাব করতো যেন এটা আপনার কাছে ভিষণ পছন্দ হয়েছে। এতে পুরুষেরা স্বস্তি পেতেন ।
১২। )স্বানীর মেজাজ বুঝে ব্যবহার। তার মুখে হাসি থাকলে হাসতেন আর তার মন কোন কারণে খারাপ থাকলে আর মেজাজ খারাপ থাকলে একদম চুপ থাকতেন ।
১৩। শশুড়-শাশুড়ির সেবা করুতো । এবং শশুড় বাড়ীর সকলকে নিজের বাড়ির লোক মনে করতেন ।
১৪ )ঘরের কোন বাসী কাজ কারো জন্য ফেলে রাখতো না।
স্বামী কোন সফর থেকে ফিরলে তাকে খেদমত করুতো কোন প্রশ্ন করত না ।
বর্তমান অনেক সংসারে দেখা যায় স্বামীরা বাড়ীতে ঢুকার পর আর জেতার চেষ্টা করে না।স্ত্রীকে জেতার সুযোগ করে দেয় । শুধু সংসারে শান্তিতে রাখার জন্য বউয়ের কাছে স্বেচ্ছায় পরাজিত হয় সুখের জন্য . সামির রাগ অভিমান করলে , বিরক্ত হয়, সামি তার অধিকার খাটায়লে বিরক্ত হয়,
পুরুষ মানুষের অবস্থাটা অনেকটা খেজুর গাছের মতো।
আদর পায় না, যত্ন পায় না, কেউ পানি দেয় না, সার দেয় না,
অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠে! বেড়ে উঠার পর কিন্তু তার কাছে প্রত্যাশা অনেক! তার ফল খুব মিষ্টি, তার রস গুড়ের জন্য হাহাকার,তাকে বছরের পর বছর ক্ষতবিক্ষত করা হয়! যতদিন বেঁচে থাকে তাকে কাটা হয়, রস নেওয়া শেষ হয়ে গেলে আর তার কোন কদর থাকে না, পথে ধারে একাকী অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকে! নিঃস্বার্থভাবে পরিবারের পুরুষ মানুষটির মতো
সামান্য বিষয় পুরুষ মানুষটি অভিমান করলে বউ বলে কোনোদিন ভালোবাসা পাইনি আমি দেইখা সংসার করেছি অন্য কোন মেয়ে প্রারতো না
এখন অনেকেই স্বামীর আত্ম সম্মানে আঘাত করে কথা বলে ইগনোর করে ,ব্যস্ততা দেখায় , অবহেলা করবেন দিনের পর দিন, তখন যদি একবার৷ উই পুরুষ মানুষটি নিজেকে গুটিয়ে নেয়, আপনার সব কিছু থেকে সরিয়ে নেয়,একবার যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় বিশ্বাস তখন হাজার বার চাইলেও আর আগের সেই মানুষটি পায়না।
৷
মেয়েরা বুঝতেই চায় না একবার মন ভেঙে গেলে হাজার চেষ্টা করেও ধরে রাখতে পারবেন না,মনকে আটকে রাখতে পারবেন না,
এখনকার মেয়েরা স্বামীকে বুঝতে চায়না সম্মান করতে চায়না ,আগলে রাখতে জানেনা। স্বামীর
কোনটা অভিমান,কোনটা অভিযোগ,কোনটা রাগ,কোনটা ভালোবাসা,বুঝতে চায় না শুধু বলি সে আমাকে ভুলে গেছে।
কেন আপনাকাকে ভুলে গেছে, এই অপবাদ না দিয়ে ভুলে যাওয়ার কারণ খুঁজুন,, তা খুঁজবে না।
এ জামানের বউরা মানতে চায় না হাদিসে আছে যতক্ষণ না ঘরের আপন সঙ্গিনী স্ত্রী তাহার স্বামীকে কোরআন ও হাদীসের কথা অনুযায়ী চলাফেরা করে নিজের স্বামীকে ছাতির মত রোদ-বৃষ্টিতে ছায়া দিয়ে না রাখে ততক্ষণ পর্যন্ত উক্ত ঘরে শান্তি আসবেনা আসতে পারে না?৷
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,