(ক্রাইম রিপোর্টার)করিমগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযান চালিয়ে ছিনতাই মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। করিমগঞ্জ থানার (নিঃ) সাব ইন্সপেক্টর মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল পশ্চিম পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করেন।
করিমগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে করিমগঞ্জ উপজেলা কান্দাইল পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ শাকিব (১৯) মোছাঃ রিয়া আক্তার (৩০) মোঃ নুরে আলম (২৮) আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় করিমগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মোঃ শাকিব (১৯) করিমগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ কুঁড়েরপার পিতা- মোঃ হারুন মিয়ার ছেলে। মোছাঃ রিয়া আক্তার (৩০) করিমগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ কুঁড়ের পার স্বামী মোঃ শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী মোঃ নুরে আলম (২৮) করিমগঞ্জ উপজেলা কান্দাইল পশ্চিমপাড়া পিতামৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
করিমগঞ্জ থানার (নিঃ) সাব ইন্সপেক্টর মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান,২৯ মে সন্ধ্যা ৬ টায় আসামী শরিফ ফোন দিয়া বলে যে তার নিকট ২টি ভাল জাতের গরু আছে। উক্ত ২টি বিক্রয় করিবে এবং টাকা নিয়ে গরু ২টি দেখতে বলে। আসামী শরিফের কথায় বিশ্বাস করে ঘটনার দিন দুপুরে গরু ক্রয় করার জন্য টাকা সহ বাদীর ছোট ছেলে সিয়াম মোল্লা (২১) ভাতিজা শাকিব খাঁন (২১)পিতা ফখরুল উদ্দিনকে নিয়ে আসামী শরিফের গ্রামে আসার পর আসামী শরিফ আসামি সেলিনা বেগম গরু দুটি দেখতে যায়।
(৩১ মে) দুপুর ২ ঘটিকার সময় আসামীদের এলাকায় একটি নির্জন স্থানে আসামী মোঃ নুরে আলমও মোঃ শাকিব পরি কল্পিত ভাবে চাইনিজ কুড়াল, লাঠি ও রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রাদিতে সজ্জিত হয়ে বাদীর সঙ্গীয় লোকজনদের ঘেরাও করিয়া আন্তর্ভুক্ত গালাগালি শুরু করে। বাদী গালাগালি করার কারণ জানতে চাইলে আসামী শরীফের হুকুমে আসামী মোঃ নুরে আলম ও শাকিবের সঙ্গীয় লোকজনদের আক্রমণ করে এক পর্যায়ে আসামি নয়ন মিয়ার হাত থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে সিয়াম মোল্লার মাথা পক্ষা করিয়া কোপ দিলে প্রাণ রক্ষার্থে লাফ দিয়ে ছেলে প্রাণে রক্ষা পায়।
আসামী জনি, ইমরানদের হাতে থাকা লাঠি রড দিয়ে এলো পাধারী ভাবে মারতে থাকে শাকিব খান বাদীর ছেলে সিয়াম মোল্লা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে জখম করে।সিয়াম মোল্লা vivo V235G Android Version মোবাইল ফোন যার মূল্য অনুমান ৪১,০০০-টাকা আসামী নয়ন মিয়া নিয়ে যায়। শাকিব খানের হাতে থাকা MI POCO X2 Android Version মোবাইল ফোন বাজার মূল্য অনুমান ২৩,৫০০- টাকা আসামী জনি নিয়ে যায়।
আসামী সেলিনা বেগম বাদীদেরকে জাবরাইয়া ধরিয়া রাখে এবং আসামী শরিফ বাদীর হাতে থাকা গরু ক্রয় করার টাকা ব্যাগ নিয়া যায়। উক্ত হাত বাগটির ৫,৫০,০০০ টাকা বাদীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং আসামী মোঃ রনিকে আটক করে।অন্যান্য আসামিগণ কৌশলে পালিয়ে যায়।
আসামী রিমা আক্তারকে গ্রেফতার কালে তার কাছ থেকে একটি বান্ডিলে ৫০০ (পাঁচশত) টাকার নোট ১০০টি আরেকটি বান্ডিল ৫০০ (পাঁচশত) টাকার নোট ৯৬ (ছিয়ানব্বই) ১০০০ (এক হাজার) টাকার নোট ২২ (বাইশ) টি সর্ব মোট নগদ ১, ২০, ০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।