মোঃ সিরাজুল হক রাজু স্টাফ রিপোর্টার।
ডুবন্ত নৌকায় কেউ আর উঠবে না। বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসনের জবাব দেওয়ায় সুযোগ নগরবাসী হাত ছাড়া করবেনা। গুম, খুন, নির্যাতনের জবাব লাঙ্গল মার্কায় ভোট দেওয়ার মাধ্যমে নতুন অধ্যায় রচনা করবেন সন্মানিত ভোটারা। এই বার্তা নৌকার মাঝির কাছে আছে।তিনি যেখানে গিয়েছেন সেখানেই ভোটারদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন আর সব দোষ ভাইপোর ঘারে চাপিয়ে দিয়েছেন।আর বলেছেন, আমাকে ভোট দিলে উন্নয়নে ভাসিয়ে দেবেব কিন্তু বৃষ্টির সামান্য পানিতেই নগরী ভেসে যাচ্ছে। বাড়তি যোগ হয়েছে বছরের পর বছর মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখল, লুটপাট ও দুর্নীতি। কিশোর গ্যাং এখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বেপরোয়া আচরণ করছে দেখার কেউ নেই। মানুষ ভয়ে কথা বলতে পরছেনা। ভোটের মাত্র ২ দিন বাকী আছে এখনও তারা বলছে ভাই ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবো। স্বাধীনমত আামার ভোট দিতে পারবো? আমি আশ্বস্ত করেছি কিন্তু পরিবেশ ভালো দেখছিনা। ভোট চোর ডাকাতদের সাথে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার গোয়েন্দা বাহিনী। তারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাই। তারা ১৪ ও ১৮ সালের মত নিশিরাতের সরকারের মেয়র হতে চায়। কিন্তু তারা ভুলে গেছেন তাদের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ আছে মাত্র ৬ মাস। যেকোন সময়ে তাসের ঘরের মত তছনছ হয়ে যেতে পারে তাদের সাজানো বাগান। গত ১৫ বছরের হিসাব নেওয়ার জন্য জনগণ অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন,আমাদের উপর কম নির্যাতন করা হয়নি। পল্লীবন্ধু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের উপর সীমাহীন নির্যাতন করেছে। জোর করে তাঁর সমার্থন নিয়েছে। আর এই কারনে তিনি অনেক কষ্ট নিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। এসব কথা আমরা ভুলবো কি করে?
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক আজকের দিনে আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিল, প্রধানমন্ত্রী কলকাঠিতে আমাকে আমার দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। আমার জন্য এই দিন কালোদিন।আমি মরে যাব কিন্তু এবার মাঠ ছাড়বোনা।আপনারা গুজবে কান দেবেন না। মনে রাখবেন আমাদের বিজয় ইনশাল্লাহ সুনিশ্চিত। আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করিনা, করবো না। বরিশালবাসী আমার সাথে রয়েছেন। আমি অনেকের কাছে সরাসরি যেতে পারিনি তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, আপনরা আমার ভাই,বন্ধু ও পথচলার সাথী। আমি বরিশালের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি, এই মাটিতে আমার কবর হবে। আপনাদের ছেড়ে আমি কোথাও যাব না। আল্লাহ আমাকে সব কিছু দিয়েছেন। আমার সম্পদ আর বাড়বেনা। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে সাড়ে তিন হাত কবর ও কাফনের কাপড় ছাড়া আর কিছু চাই না।আমি চুরি করবো না কাউকে চুরি করতে দেবনা। দুর্নীতিমুক্ত হবে বরিশাল নগরী। সর্বস্তরের মানুষের সেবক হতে চাই। আধুনিক ও উৎপাদনমূখী নগর গড়তে চাই। আমার ৩০ দফা ইশতেহার বাস্তবায়ন করবো ইনশাল্লাহ।৯ জুন শুক্রবার সকালে ২৪ ও ২৬ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের ভোটারদের সাথে গণসংযোগ করেন এবং পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন ৯ নং ওয়ার্ডের কসাই জামে মসজিদে।নামাজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে শেষ মুহূর্তে তিনি ভোটারদের কাছে লাঙ্গল মার্কায় প্রার্থনা করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, এস রহমান পারভেজ, এম এ হান্নান, রফিকুল ইসলাম গফুর, নজরুল ইসলাম কবিরাজ, এ্যাড. এম এ জলিল, নজরুল ইসলাম হেমায়েত, অধ্যাপক গিয়াস, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।