মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বিভিন্ন সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু ,আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই।দু- একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মানবিক পুলিশ।যারা সাধারন মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। কথাগুলো যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি হলেন বাংলাদেশ পুলিশ বগুড়ার শাজাহানপুর থানার এসআই শামীম হাসান। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এই কথাটি বাস্তবে রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এসআই শামীম হাসান। তিনি শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়নের বিট অফিসারের দায়িত্বেও নিয়োজিত রয়েছেন। বিট এলাকায় বিভিন্ন অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কম্বল বিতরণ সহ সাধ্যমত দান-খয়রাত করে চলেছেন। নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে হাজারো মানুষের ভিড়ে চলছে সেবা। এসআই শামীম হাসান বলেন, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে খুবই গর্ববোধ করছি। এবং গর্ববোধ করছি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে। যারা করোনা মহামারীর দুঃসময়েও মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম। পুলিশ মানে জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা,আর পুলিশ মানে শত ভয় কে জয় করে মানুষের সেবা করা, পুলিশ মানে নিজে রাত জেগে ঘুম কে
বিসর্জন দিয়ে অন্যকে ঘুমের স্বাদ দেওয়া ,পুলিশ মানে একাত্তরের জীবন দাতা , পুলিশ মানে ব্যথিত হৃদয়ে মানুষের মাঝে মিশে যাওয়া , পুলিশ মানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দাবিদার,পুলিশ মানে করোনাকালে ভয়ে রাস্তায় ফেলে যাওয়া মানুষের লাশের দাফন দাতা , পুলিশ মানে নিজে ঈদে বাড়ি না গিয়ে অন্যকে ঈদের আনন্দ দেওয়া, পুলিশ মানে করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়া, তারপরেও আমরা অনেক খুশি আমরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে। মানবিক পুলিশ অফিসার, তরুণ প্রজন্মের আদর্শ, সুযোগ্য, উদ্যমী,ন্যায় পরায়ণ, মেধাবী,সৎ, সাহসী, কর্মঠ, দক্ষ, নিরহংকার, দানবীর, চৌকস, কর্তব্য পরায়ণ ও আন্তরিক ব্যক্তিত্ব । তিনি সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রেখে যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার জন্য বড় ও উদার মনের এই পুলিশ অফিসারের অবদান অনস্বীকার্য।