সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব ও মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে পুলিশের সোর্সরা।বিশ্লেষকেরা বলছেন, সোর্সকে ব্যবহার করে পুলিশের ১০ শতাংশ সদস্য আর্থিক সুবিধা নেয়।
এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যাকাণ্ড,পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা। এছাড়াও শাহআলীতে চাঁদা না দেয়ায় চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরকে পুলিশের সামনেই পুড়িয়ে মারা, এসব ঘটনায়ই পুলিশ সোর্সের সম্পৃক্ততা মেলে তদন্তে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গতানুগতিক তদন্ত ব্যবস্থায় সোর্সের উপরে নির্ভরতা বেড়েছে পুলিশের। মাঠ পর্যায়ে এক শ্রেণির অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে মাদক কেনাবেচা, ফুটপাতে চাঁদাবাজি, হত্যা ও অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে সোর্সরা।
অন্যদিকে পুলিশের সোর্স মানি কিংবা অপারেশন মানি কারা পান এ নিয়ে বির্তক বহু দিনের। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সোর্সরা অনেক সময় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে। এ কারণে সোর্স নির্ভরতা কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হত্যা, চাঁদাবাজি, হয়রানিসহ নানা অপরাধে জড়িত পড়েছে পুলিশের অন্তত ৫০০ সোর্স।
পুলিশ সূত্র বলছে,এই দাগি সোর্সদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ আসছে। এর ভিত্তিতে তাদের পরিচয়সহ একটি তালিকা করে পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সব মহানগর পুলিশের কমিশনার ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) কাছে চিঠি পাঠিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর সোর্সদের লাগাম টানতে বলেছে। পুুলিশের যারা সোর্স ব্যবহার করেন, তারা যেন তাদের আমলনামা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেন।
পুলিশ বলছে, ‘সোর্সরা পুলিশের নাম ব্যবহার করে অপরাধ চালায় বলে আমরা প্রায়ই অভিযোগ পাচ্ছি। অপরাধ যারা করবে,তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।