দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ অনলাইন ডেস্কঃ
যশোর জেলার কলারোয়া থানা এলাকার বাসিন্দা যশোর পলিটেকনিক এর ৪র্থ সেমিস্টারের মেধাবি ছাত্রী জেসমিন আক্তার(১৮) গত ২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ নিখোঁজ হয়।
এ বিষয়ে ভিকটিমের বাবা যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা ফোন কলের মাধ্যমে ভিকটিমকে ভারতে পাচার করা হবে মর্মে ভিকটিমের পরিবারকে জানানো হয়।
ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পকে অবহিত করেন। তাৎক্ষনিক র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল নিখোঁজ ভিকটিমকে উদ্ধারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।
আভিযানিক দলটি যশোর জেলার শার্শা থানাধীন দক্ষিণ বুরুজবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আহসান কবির অংকুর(২০)কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ভিকটিমের সাথে সে যশোর পলিটেকনিকে ৪র্থ সেমিস্টারে পড়ালেখা করতো।
তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিগত কিছুদিন থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।আসামী ভিকটিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ আনুমানিক ১৩.৩০ ঘটিকার সময় আসামী তার নিজ বাসায় ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে কৌশলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধসহ মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে।
হত্যার পরে লাশ গুম করার জন্য বস্তায় ভরে আসামীর বাসার সেফটি ট্যাংকের ভিতরে ফেলে দেয়।
আসামীর স্বীকারোক্তি মূলে উক্ত সেফটি ট্যাংক হতে ভিকটিমের মরদেহ ও ব্যবহৃত ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত যশোর জেলার শার্শা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
র্যাবের সহায়তায় ভিকটিমের পরিবার কর্তৃক আসামীর বিরুদ্ধে শার্শা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার কাজ প্রক্রিয়াধীন।